হাসপাতালে ভর্তি ৮৫ শতাংশই টিকা না নেওয়া: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে আসছেন তাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই করোনাভাইরাসের টিকা নেননি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার বেসরকারি মেডিকল কলেজ ও হাসপাতাল মালিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় তিনি জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের তথ্য যাচাই করে এ চিত্র পেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
“আমরা হিসাব করে দেখেছি, আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে আসছেন তাদের খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেছে, তাদের ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি। যারা মারা গেছেন তাদেরও বেশিরভাগ টিকা নেননি।”
মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে কোভিড শনাক্ত হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৭ জন। এর মধ্যে গত ১৩ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখের বেশি মানুষ।
বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন এক লাখ ২৮ হাজারের বেশি রোগী। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ২৫৬ জনের।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, কোভিড আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে যে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ৫১ জন করোনাভাইরাসের টিকা নেননি। অর্থাৎ ৬৪ শতাংশের বেশি ছিলেন টিকা না নেওয়া।
করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কত শতাংশ টিকা নেননি সে তথ্য এখনও পর্যন্ত জানায়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে হাসপাতালগুলোর প্রস্তুতির তথ্য তুলে ধরে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে সাধারণের ‘অনীহাকে’ দায়ী করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
“মানুষের অতি আত্মবিশ্বাসের কারণেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবার বেড়েছে। লাখ লাখ লোক কক্সবাজারের গেছে, কেউ মাস্ক পরছে না। পরিবহনে যাতায়াতের সময় কেউ মাস্ক পরছে না, বাণিজ্যমেলা হচ্ছে সেখানেও কেউ মাস্ক পরছে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবিস্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি“এই রকম পরিস্থিতির কারণে সংক্রমণ বেড়েছে। ১ শতাংশের বেশি ছিল সংক্রমণের হার। এটা ৩২ শতাংশে উঠেছে। দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আমাদের অতি আত্মবিশ্বাসের কারণে এটা হয়েছে।”
জাহিদ মালেক জানান, ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে এর লক্ষণ ও উপসর্গ ‘মৃদু’ থেকে ‘মাঝারি’ মাত্রার দেখা যায়। তবে ভাইরাসের এই ধরনটি দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালগুলো প্রস্তত রয়েছে জানিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও সংক্রমণ ঠেকাতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজধানীতে সরকারি যে হাসপাতাল আছে, সেগুলোর ২৫ শতাংশ শয্যা ভরে গেছে। এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে বেডের চাহিদা বাড়বে।
“আগেও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকরা যেভাবে এগিয়ে এসেছিলো, আশা করি এবারও আপনার আগেরবারের মত করবেন।”
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মুবিন খানের সভাপতিত্বে সভায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আনোয়ার হোসেন খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হাসান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এনায়েত হোসেন,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. আহমেদুল কবীর বক্তব্য রাখেন।
- করোনা শনাক্ত ২৩ জনের, মৃত্যু নেই
- নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চায় আওয়ামী লীগ : তথ্যমন্ত্রী
- জলবায়ু সহিষ্ণু শস্য উদ্ভাবনের ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
- ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ ভারতের উড়িষ্যার দিকে যাচ্ছে
- টানা ১৩ দিন করোনায় মৃত্যু শূন্য দেশ, নতুন শনাক্ত ১০ জন
- সুখবিলাসে ঈদ : তথ্যমন্ত্রী যখন গাড়িচালক
- কোভিড: মহামারীর মধ্যে এক মাসে সর্বনিম্ন মৃত্যু
- অারো খবর
- পরিত্যক্ত কূপে গ্যাস, দিনে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহের আশা
- পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের মুসলমানদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
- সৌদির আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায়নি
- ঈদযাত্রা শুরুর দিনে দেরিতে ছাড়ল ডজন খানেক ট্রেন
- করোনা সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা আছে, তাই সচেতন থাকতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সরকার দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রেখেছে : তথ্যমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রী ঈদ উপহার হিসেবে ৩২ হাজার ৯০৪টি পরিবারকে ঘর দিলেন